তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত তৃণমূল : ব‍্যাপক উত্তেজনা শহরের রাজনীতিতে

4th December 2020 1:50 pm বর্ধমান
তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত তৃণমূল : ব‍্যাপক উত্তেজনা শহরের রাজনীতিতে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান )  : শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কে ঘিরে ব‍্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো শহর বর্ধমানের রাজনীতিতে । তৃণমূলের কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত তৃণমূল নেতা । উত্তপ্ত বর্ধমান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড । অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ ঘিরে সরগরম এলাকা । ঘটনাস্থলে বর্ধমান থানার আইসি পিন্টু সাহা সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী । ঘটনার সুত্রপাত দুয়ারে সরকার কর্মসুচী ঘিরে ।  সকাল থেকেই প্রচুর মানুষ এসেছেন খালাসিপাড়া য় আয়োজিত শিবিরে । হঠাৎ করেই সে সময় তৃণমূল নেতা শিবশঙ্কর ঘোষ ওই এলাকার প্রবীণ ব‍্যক্তি তরুণ চট্টোপাধ‍্যায় কে কটুক্তি করেন বলে অভিযোগ । প্রাক্তন রেল আধিকারিককে এই ধরনের কটুক্তি করার পাশাপাশি গালে চড় ও মারেন তৃণমূল নেতা শিবশঙ্কর ঘোষ বলে অভিযোগ । এই ঘটনাকে ঘিরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি । তৃণমূল নেতা খোকন দাসের গোষ্ঠী বলে পরিচিত শিবশঙ্কর ঘোষকে ঘিরে অপর গোষ্ঠী মহঃ সেলিম এর অনুগামীরা প্রতিবাদ করতেই শুরু হয় তুমুল উত্তেজনা । শিবশঙ্কর ঘোষকেও মারধোর করা হয় । যদিও পালাতে গিয়ে ড্রেনে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন তিনি বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা ৬ নম্বর ওয়ার্ডে র প্রাক্তন কাউন্সিলর মহঃ সেলিম । আহত অবস্থায় শিবশঙ্কর ঘোষকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান হাসপাতালে । খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন তৃণমূল নেতা খোকন দাস , আব্দুল রব , ইফতিকির আহমেদ সহ অনান‍্যরা । মহঃ সেলিমের লোকজন কেন শিবশঙ্কর ঘোষকে মারধোর করলো তার জবাবদিহি চেয়ে শুরু হয় পথ অবরোধ । বর্ধমান সদর থানার আইসি পিন্টু সাহার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে ঘটনাস্থলে । পুলিশের সামনেই চলে বিক্ষোভ । তৃণমূল নেতা খোকন দাস সরাসরি অভিযোগ করেছেন সদ‍্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া আইনুল হকের দিকে । তার মদতেই শহরে অশান্তি শুরু হয়েছে । আরো অশান্তি হবে বলে জানিয়েছেন খোকন দাস । আইনুল হক ও মহঃ সেলিম যৌথভাবে এই অশান্তি তৈরী করছে বলে অভিযোগ । আব্দুল রব জানিয়েছেন , বিজেপির এজেন্ট আইনুল হক । বিজেপি ই ওকে তৃণমূলে পাঠিয়ছে অশান্তি করবার জন‍্য । অবিলম্বে শিবু ঘোষের উপর হামলাকারীদের গ্ৰেপ্তার করতে হবে বলে দাবী তোলেন তৃণমূল কর্মীরা । যদিও পাল্টা বক্তব‍্য রেখেছেন মহঃ সেলিম । তিনি জানিয়েছেন , আইনুল হককে দলে নিয়েছে মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় । এটা তাঁর সিদ্ধান্ত । " বহিরাগত " শিবু ঘোষ এসেই অশান্তি তৈরী করেছে বলে দাবী তার । ঘটনাকে ঘিরে চাপানউতোর শহর জুুড়ে ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।